Welcome to my website. For Visit our facbook click here facebook!

রসায়ন কাকে বলে? দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের ভূমিকা | The Scopes of chemistry.

রসায়ন কি? কাকে বলে? রসয়নের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত। The Scopes of chemistry. রসায়নের পরিচিতি, রসায়নের পরিধি কতটুকু
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

রসায়ন কি? কাকে বলে? রসয়নের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত।

রসায়ন কাকে বলে? দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের ভূমিকা | The Scopes of chemistry.



বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে রসায়ন অন্যতম। রসায়নকে জীবনের জন্য বিজ্ঞান বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকে রসায়ন চর্চার মাত্রা বেড়েই চলেছে। প্রাচীন আলকেমিদের রসায়ন চর্চা বর্তমানের রসায়ন শিল্পকে জন্ম দিয়েছে। আজকে আমার জানবো যে, রসায়ন কাকে বলে? রসায়নের ইতিহাস , ও দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের ভূমিকা কি?

তাছাড়াও আপনাদের রসায়নের ধারনা, পরিধি, দৈনন্দিন জীবনে রসায়নেরর ভূমিকা ও রসায়নের যাবতীয় তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব।তাহলে চলুন জেনে নেই বিস্তারিত।
রসায়ন কাকে বলে?

বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে রসায়ন অন্যতম। রসায়নকে জীবনের জন্য বিজ্ঞান বলা হয়।তাই আমাদের জানতে হবে রসায়ন কাকে বলে।রসায়নের বিস্তৃতি ব্যাপক। মানবজাতি ও পরিবেশের কল্যাণে রসায়ন সর্বদা নিয়ােজিত। তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে, রসায়ন কোথায় কোন কাজটির সাথে সম্পৃক্ত তা সবার জানা দরকার, যাতে আমরা দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের জ্ঞান ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারি।

রসায়নের পরিচিতি

রসায়ন প্রাচীন ও প্রধান বিজ্ঞানগুলাের অন্যতম। রসায়নে নানা ধরনের পরিবর্তন যেমন- সৃষ্টি, ধ্বংস, বৃদ্ধি, রূপা, উৎপাদন ইত্যাদির আলােচনা করা হয়। রসায়নের চর্চা কয়েক সহস্রাব্দী থেকে হয়ে আসছে। ভারতবর্ষে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বেই কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে রংয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। মানুষ ধাতব অত্র, স্তম্ভ ও মূর্তি তৈরি করেছিল বহুকাল আগেই। পুরাতন সভ্যতায় রসায়ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খনিজ থেকে মূল্যবান ধাতু যেমন- স্বর্ণ, রৌপ্য, সিসা প্রভৃতি আহরণ করা হতাে। খ্রি. পূর্ব ২৬০০ বছর পূর্বে মিশরীয়রা স্বর্ণ আহরণ করে, যা অভিজাত ও মূল্যবান ধাতু হিসেবেআজও সমাদৃত।

প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রসায়ন চর্চা ‘আল-কেমি’ (Alchemy) নামে পরিচিত। আল-কেমি শব্দটি আরবি "আল-কিমিয়া" থেকে উদ্ভূত, যা দিয়ে মিশরীয় সভ্যতাকে বুঝানাে হতাে। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা রসায়ন চর্চার মাধ্যমে মানুষের চাহিদা বহুলাংশে মেটাতে সক্ষম হয়েছিল। আজ শিল্প-কারখানায় তেল, চিনি, কাগজ, কলম, ঔষধপত্র, কাপড়, শ্যাম্পু, সাবান, রড-সিমেন্ট থেকে শুরু করে ব্যবহার্য অনেক সামগ্রী তৈরিতে রসায়নের অবদান রয়েছে।

মজার ব্যাপার হলাে, বর্তমান যুগে রসায়নের পরিচিতি শুধুমাত্র শিল্প-কারখানা, পরীক্ষাগার বা গবেষণাগারের কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ নয়। যদি আমরা চারপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি লক্ষ করি, তাহলে দেখতে পাব যে, সর্বক্ষেত্রেই রসায়নের উপস্থিতি রয়েছে।

রসায়নের পরিধি কতটুকু

রসায়নের বিস্তৃতি ব্যাপক, যা মানুষের সেবায় নিয়ােজিত। রসায়নের চর্চা সময়ের সাথে ক্রমবর্ধমান। আমাদের জীবনে রসায়নের ব্যবহার বিবেচনা করি। জোরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠা এবং ব্রাশ করে পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে নেয়া একটু তেলজাতীয় জিনিস হাতমুখে মেখে, চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে টেবিলে পড়তে বসা লাল মলাটের বইটি খুলে দেখলে সাদা কাগজে কালাে কালির অক্ষরের লেখা- এর সব কিছুতেই রসায়ন রয়েছে। কিছুক্ষণ পড়ার পর পেন্সিল বা কলম দিয়ে খাতায় প্রশ্নের উত্তর লিখলে। তারপর খাবার খেয়ে তােমার স্কুলের ইউনিফরম যেমন- সাদা-শার্ট ও নীল-প্যান্ট পরে স্কুলে গেলে। যাওয়ার পথে চোখে পড়ল একজন লােক বাগানে বা ক্ষেতে সার ব্যবহার করছেন। একটু পরে লক্ষ করলে, ধোঁয়া উড়িয়ে একটা মােটরসাইকেল তােমার পাশ দিয়ে চলে গেল। এসবের মধ্যেও রয়েছে রসায়ন।

রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সম্পর্ক

আমরা জেনেছি যে, রসায়ন হলাে প্রধান বিজ্ঞানগুলাের অন্যতম। রসায়নের সাথে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যেমন— গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান ইত্যাদির বিশেষ যােগসূত্র রয়েছে। মােটকথা, অন্যান্য বিজ্ঞানসমূহ যেমনভাবে রসায়নের উপর নির্ভরশীল, তেমনভাবে রসায়নের অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা প্রদান বা তত্ত্বীয় ধারণা অন্য বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়েই করতে হয়। তােমরা জীবচক্রে পড়েছ যে, প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে সমগ্র প্রাণিকুলের খাদ্যের যােগানদাতা উদ্ভিদ। উদ্ভিদ সালােকসংশ্লেষণ’ (photosynthesis) নামক জীব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ দেহে খাদ্য সঞ্চয় করে যাহা আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি।। আবার জীবের দেহ বিভিন্ন জটিল অণু যেমন- প্রােটিন, চর্বি, ক্যালসিয়ামের যৌগ, ডিএনএ (DNA) প্রভৃতি দ্বারা গঠিত। জীবের জন্ম ও বৃদ্ধি জীব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সাধিত হয়।

আরো পড়ুন : EEE Subject Review | ইইই সাবজেক্ট রিভিও.


আধুনিককালে বিজ্ঞানের অবদান বলে খ্যাত বিদ্যুৎ, চুম্বক, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স-এর তত্ত্ব, উৎপাদন ও ব্যবহারের আলােচনা পদার্থ বিজ্ঞানে করা হয়। আমরা যদি লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাই যে, পদার্থের বিভিন্ন রাসায়নিক গুণাবলির সমন্বয় ঘটিয়েই এসব বস্তুর সৃষ্টি। এখানে উদাহরণস্বরূপ বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণকে বিবেচনা করা যেতে পারে। তেল, গ্যাস, কয়লা পুড়িয়ে অর্থাৎ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে উৎপাদিত তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় এবং তা ধাতব তারের (যেমন- তামা) ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স-এর বিভিন্ন ক্ষুদ্রাংশগুলাে যেমন- সিডি, মেমােরি ডিস্ক, মনিটর প্রত্যেকটির গুণাবলি বিভিন্ন পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের সমন্বয় ঘটিয়ে উক্ত বতুগুলাে তৈরি করা হয়। অপরদিকে বলা হয়ে থাকে যে, প্রকৃতিতে যতটুকু অব্যবহৃত কপার (তামা) মজুদ আছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ তামা ইতিমধ্যেই কম্পিউটার ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে তামার ব্যবহার হলে তা এক সময় ফুরিয়ে যাবে। তাছাড়াও নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব। যন্ত্রাংশ দিনে দিনে বাড়তে থাকবে এবং আমাদের পরিবেশকে ক্ষতি করবে। তাহলে কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স নষ্ট হয়ে গেলে, ঐ সব যন্ত্রাংশ থেকে তামা পুনরুদ্ধার করে তার পুনর্ব্যবহার করা জরুরি। সেটিও রসায়ন চর্চার মাধ্যমেই সম্ভব।

অন্যদিকে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যুর পর দেহের পচন হয় এবং নানা অণুজীব প্রক্রিয়ার ফলে মাটির সাথে মিশে যায়। ভূগর্ভের বিশােষিত তাপ ও চাপের প্রভাবে মাটিতে মিশে যাওয়া পদার্থের আরও রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। ফলে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন- পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদিতে পরিণত হয়। বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ওজোনস্তর ও ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহ চিহ্নিতকরণ রসায়নের বিভিন্ন পদ্ধতির সাহায্যেই করা হয়। এবার অন্যান্য বিজ্ঞানের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা বিবেচনা করা যেতে পারে। গণিত ব্যতীত রসায়ন বিজ্ঞানের তত্ত্ব প্রদান করা বা তত্ত্বীয় জ্ঞানার্জন অসম্ভব। রসায়নে হিসাব-নিকাশ, সূত্র প্রদান ও গাণিতিক সম্পর্ক সবই তাে গণিত। কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস (quantum mechanics), যা মূলত গাণিতিক হিসাব-নিকাশ-এর সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করে। অন্যদিকে, রসায়নের বিভিন্ন পরীক্ষণ যন্ত্ৰ-নির্ভর। এসব যন্ত্রের মূলনীতি বা পরীক্ষণ মূলনীতি পদার্থ বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। উপরের আলােচনা থেকে এটা বুঝা গেল যে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সাথে রসায়নের যােগসূত্র রয়েছে।

রসায়নের গুরুত্ব

আমরা রসায়নের পরিধি পড়ে বুঝেছি যে, মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন– অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার উপকরণ জোগানে রসায়ন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়ােজিত এখানে উল্লেখ্য যে, রাসায়নিক পদার্থ মানেই ক্ষতিকারক এমন ধারণা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে আছে, যা ভ্রান্ত। আমরা যা খাচ্ছি, যেমন- ভাত, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পানি এবং যা ব্যবহার করছি যেমন- সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু, পাউডার, ঔষধপত্র ইত্যাদি সবই রাসায়নিক পদার্থ নয় কি? কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক (insecticides) সবই রাসায়নিক দ্রব্যাদি। কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে শস্যহানি থেকে পােকামাকড়ের কার্যক্রম প্রতিরােধ করা হয়। আমরা মশা তাড়াবার জন্য কয়েল বা অ্যারােসল (aerosols) ব্যবহার করছি। সাবান, ডিটারজেন্ট (detergents), শ্যাম্পু (shampoo) ইত্যাদি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করি।

আরো পড়ুন : CSE Subjet Review..


আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য রক্ষায় ঔষধ, অ্যান্টিবায়ােটিক (antibiotics), ভিটামিন (vitamins) সেবন করি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সামগ্রী যেমন— কাঁচা হলুদ, মেহেদী এবং কৃত্রিম কসমেটিকস্ (cosmetics) ও রং ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ঔষধপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্বাস্থ্যরক্ষা ও সৌন্দর্যবর্ধনের নিমিত্তে গ্রহণ করছি। কখনও কখনও অনভিজ্ঞ বা অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এসব সামগ্রী প্রস্তুত ও সরবরাহ করে থাকে। মানুষের ক্ষতির দিক বিবেচনা না করে অথবা না বুঝে অসাধুভাবে মাছ, মাংস ইত্যাদির পচনরােধে এবং ফলমূলের দ্রুত পরিপক্কতা আনায়নে বা পাকাতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হচ্ছে। একইভাবে খাবারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে নিষিদ্ধ ও খাবারের অনুপােযােগী (non-food grade) রং ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশেষ করে ফলের জুস, সস, কেক, বিস্কুট প্রভৃতিতে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য প্রিজারভেটিভস্ (preservatives) দেওয়া হয়) প্রিজারভেটিভস ছাড়া সংগৃহীত খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে ঠিকই, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব খাদ্য সংরক্ষণে অধিকমাত্রায় নিষিদ্ধ ও খাবারের অনুপযােগী প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, চুলােয় রান্না করার কাজে ব্যবহৃত তাপ- কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে উৎপন্ন করা হয়, যেখানে বায়ুর অক্সিজেন ও কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রিয়া করে তাপ, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য পদার্থ উৎপন্ন করে। উল্লেখ্য, অতি স্বল্প পরিমাণ বায়ুর উপস্থিতিতে কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস পােড়ালে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কার্বন মনােঅক্সাইড নামক গ্যাসও তৈরি হতে পারে। এছাড়াও কাঠ ও কয়লা পােড়ালে ক্ষতিকারক কার্বন কণা (carbonparticles) উৎপন্ন হয়, যা পাত্রের নিচে জমলে তাকে আমরা ‘কালি’ বলে থাকি) একইভাবে কল-কারখানা ও যান্ত্রিক যানবাহন থেকে প্রতিনিয়ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

অতিরিক্ত সার, কীটনাশক, সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু প্রভৃতি মাটিকে এবং নদী- -নালা ও খাল-বিলের পানিকে দূষিত করছে। মশার কয়েল বা অ্যারােসলের ধোয়া আমরা নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করি। কৃত্রিম কসমেটিকস্, রং ও ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করি, যা রক্তের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভিতরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যদিকে, তাপ বা শক্তি তৈরির সাথে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড বায়ুর সাথে মিশে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে। আমরা জানি, রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহারে গাছের ক্ষতি হয় বা, গাছ মরে যায়। মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবনে।মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তাহলে এটা পরিষ্কার যে, ভালাে থাকার জন্য রাসায়নিক পদার্থের পরিমিত ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। তা একমাত্র রসায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞানই নিশ্চিত করতে পারে।

অপরদিকে, রসায়ন পাঠের মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থের বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিক ও ঝুঁকি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন সম্ভব, যা আমাদেরকে সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এর পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারকারী এবং প্রতুতকারী উভয়ে রাসায়নিক পদার্থের গুণাগুণ বিবেচনাপূর্বক এদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে সমাজ ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। তাহলে এটা স্পষ্ট যে, প্রত্যেকের রসায়ন সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অতীব জরুরি।

"এই সম্পর্কিত আরো অনেক পোষ্ট আছে। ভালো লাগলে পড়তে পারো। "
আমাদের শেষ কথা

আপনারা যারা আমার পোষ্ট টি ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তাদের জন্য র‌ইল শুভ কামনা। আশা করি বুঝতে পারছেন যে রসায়ন কাকে বলে? রসায়নের ইতিহাস।রসায়নের উৎপত্তি? রসায়নের পরিধী কতটুকু। ভালো থাকবেন। আশা করি আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনাদের সকল কমেন্টের রিপ্লাই দিতে চেষ্টা করবো।
ভালো লাগলে অবশ্যই পোষ্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। অন্যদেরকে ও দেখার সুযোগ করে দিন।
ⓒ Text Book Of Class 9-10.

About the Author

Hello! I am Yeasir Arafat . Content writing is my hobby. So I'm constantly trying to write. Everyone will pray for me. Thanks.

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.